


১৬ই মে,২০২৫,শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা
শরৎচন্দ্রের পাঠচক্রে
অনুষ্ঠিত হলো– সুরের দর্পণে
নজরুল বীক্ষণ
উপস্থাপন দুটি অংশে,যথা ভাষণে ও
সঙ্গীত পরিবেশনে।
বক্তা শ্রী জ্যোতির্ময় মুখোপাধ্যায়
স্বল্প কথায় প্রতিভাবান মনিষী নজরুলের বিশেষ বিশেষ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, জীবনধারা ও অসাধারণ প্রতিভার উল্লেখ করেন।
নজরুলের সঙ্গীত রাগাশ্রিত, তিনি নিজেও অনেক রাগ ও ছন্দ বা তাল
সৃষ্টি করেছেন।
উল্লেখ করেন নজরুল গীতির নানা ধারার বৈচিত্র্য–ভক্তি মূলক, প্রকৃতি, প্রণয় গীতি, দেশাত্ববোধক,
ব্যঙ্গাত্মক , হাস্যরসাশ্রিত, রণ সঙ্গীত, বিদেশী সুরাশ্রিত গান ইত্যাদির।
প্রসঙ্গত বলেন পঞ্চকবির সর্ব কনিষ্ঠ হলেন নজরুল, জন্ম১৮৯৯।
আরও অনেক কথা।
উল্লেখ করেন নজরুল তাঁর সঙ্গীত
সৃষ্টিতে কিছু কিছু গানে মধ্য প্রাচ্যের সুরের ছোওয়ায় চমৎকৃত করেছেন,যেমন
“মোমের পুতুল মমীর দেশের মেয়ে নেচে যায়….”
“রুম ঝুম, ঝুম ঝুম,রুম ঝুম ঝুম,খেজুর পাতার…..”
বক্তা বলেন তিনি নিজে কিছুই জানেন না, কিন্ত যে সব মনিষী নজরুলকে নিয়ে চর্চা করেছেন তাদের উল্লেখ্য তথ্য থেকেই তিনি বলছেন।
ভাষণে যদি বিনয় প্রকাশ পায় তাহলে তা হয় আরও মনোগ্রাহী।
দ্বিতীয়ার্ধে নজরুল গীতি পরিবেশন করেন
শ্রীমতী ঋতুপর্ণা
বন্দোপাধ্যায় ,সাথে বিধানবাবুর
যথাযথ তবলা সঙ্গত।
প্রায় আধঘন্টা ধরে তিনি তাঁর সুললিত স্বরে ও সুরে শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখেন।
শুরু করেন পটদীপ রাগের গান দিয়ে, পরে রামকেলি ,মালগুঞ্জী ইত্যাদি রাগ ভিত্তিক।
বক্তা ও গায়িকা দুজনেই উল্লেখ করেন
নজরুল বলেছেন তিনি প্রেম দিতে ও নিতে পৃথিবীতে এসেছেন।
গানের মহিমা ও বৈচিত্র্যও যেন তা
ইঙ্গিত দেয়।
নজরুল এর শব্দ চয়ন ত আর এক চমক।
এ প্রসঙ্গে
শ্রীমতী ঋতুপর্ণা বন্দোপাধ্যায়
গাইলেন —
“উচাটন” মনো ঘরে রয় না ,
পিয়া মোর ….
এ “উচাটন” শব্দ সাহিত্যে থাকলেও সঙ্গীতে ব্যবহার নেই
উল্লেখ করেছিলেন বক্তাও।
শিল্পীর অসাধারণ গায়কী ও সাধনার মোড়কে সঙ্গীত
পরিবেশনায় মুগ্ধ হলেন শ্রোতারা–
এক অনাবিল আনন্দ ধারায়।
অবশেষে
অকুণ্ঠ
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন, অন্যতম সদস্য–
শ্রী সুভাষ জানা শরৎ সমিতির পক্ষ থেকে।
পূরবী দত্ত
১৭৷০৫৷২০২৫




